Posts

Showing posts with the label salat. muslimjogott

বিভিন্ন সালাতের নিয়ম

দুই রাকাত নামাজের নিয়মঃ প্রথমে অজু করে পবিত্র হয়ে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে জায়নামাজের দোয়া পড়বেন না কারন তার সহীহ কোন দলীল নেই । মনে নামাজের নিয়্যত  করবে অন্তরে মুখে পডা বিদ,আত । এবং আল্লাহু আকবার বলে তাকবীরে তাহরিমার পরে নারী_পুরুষের একই নিয়ম বুকের উপর বা নাভীর উপরে হাত বাঁধবে (বাম হাঁতের উপরে ডান হাত)প্রথমে সানা পড়বেসূরা ফাতিহা পড়বে এবং তারপরে অন্য একটি সূরা মিলাবেধীর-স্থিরভাবে রুকু ও দুই সিজদা করে উঠে দাঁড়াবে এবং পূর্বের ন্যায় হাত বাঁধবেসূরা ফাতিহা পড়বে এবং অন্য কোন সূরা মিলাবেসম্পূর্ণভাবে রুকু-সেজদা করবে এবং উঠে না দাঁড়িয়ে বৈঠকে বসবে। বৈঠকে তাশাহুদ, দরুদ ও দোয়া মাসুরা পাঠ করবে। অতঃপর ডানে ও বামে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবে তিন রাকাত নামাজের নিয়মঃ প্রথমে অজু করে পবিত্র হয়ে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে জায়নামাজের দোয়া পড়বেমনে মনে নামাজের নিয়্যত করবে এবং আল্লাহু আকবার বলে তাকবীরে তাহরিমার পরে  বুকের উপর বা নাভীর উপরে হাত বাঁধবে (বাম হাঁতের উপরে ডান হাত)প্রথমে সানা পড়বেসূরা ফাতিহা পড়বে এবং তারপরে অন্য একটি সূরা মিলাবেধীর-স্থিরভাবে রুকু ও দুই সিজদা করে উঠে দাঁড়াবে এবং পূর্বের ন্যায় হ

সালাত কায়েমের জরুরী বিষয়

  যে ফরজ কাজগুলো সালামের মধ্যে আদায় করতে হয়, সেগুলোকে সালাতের আরকান বলা হয়। সালাতের ৬টি আরকান রয়েছে, সেগুলো নিম্নে দেয়া হল- ১. তাকবিরে তাহরিমা বা আল্লাহু আকবার বলে নামাজ শুরু করা। ২. কেরাম বা দাঁড়িয়ে সালাত পড়া। নারী-পুরুষ উভয়কে দাঁড়িয়ে সালাত পড়ত হবে। তবে অসুস্থ হলে বসে এবং বলতে অক্ষম হলে শুয়ে ইশারায় সালাত পড়তে হবে। ৩. কোরআন শরিফের কিছু অংশ পাঠ করা। ৪. রুকু করা ৫. সিজদা করা ৬. শেষ বৈঠকে বসা (যে বৈঠকে তাশাহুদ, দরুদ, দোয়া মাছুরা পড়ে সালামের মাধ্যমে সালাত শেষ করা হয় তাকেই বলে শেষ বৈঠক) ডানে ও বামে সালাম ফিরিয়ে সালাত শেষ করা। যে ফরজ কাজগুলো নামাজ শুরু করার আগেই করতে হয়, সেগুলোকে সালাতের আহকাম বলা হয়। সালাতের আহকাম মোট সাতটি। যথা- ১. শরীর পাক হওয়া : প্রয়োজনমতো অজু-গোসল বা তায়ামুমের মাধ্যমে শরীর পাক পবিত্র করা। ২. কাপড় পাক হওয়া, অর্থাৎ কাপড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়া। ৩. জায়গা পাক হওয়া (নামাজ পড়ার স্থান পাক হওয়া)। ৪. সতর ঢাকা (পুরুষের নাভীর উপর থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে রাখা এবং মহিলাদের মুখমণ্ডল হাতের কব্জি এবং পায়ের পাতা ছাড়া সমস্ত শরীর ঢেকে রাখা)। ৫. কিবলামুখী হওয়া (কাবা

সালাতের ফযিলত

                                      ইসলামে সালাতের  গুরুত্ব অপরিসীম  সালাত ইসলামের দ্বিতীয় রুকন, যা সুপ্রতিষ্ঠিত করা ব্যতীত মুসলমান হওয়া যায় না। সালাতে অবহেলা, অলসতা মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথা মুতাবিক সালাত পরিত্যাগ করা কুফরি, ভ্রষ্টতা এবং ইসলামের গণ্ডীবহির্ভূত হয়ে যাওয়া। সহীহ হাদীসে এসেছে, بين الرجل وبين الكفر والشرك ترك الصلاة অর্থ: “মুমিন ও কুফর-শিরকের মধ্যে ব্যবধান হল  সালাত পরিত্যাগ করা”। (মুসলিম) এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন: العهد الذي بيننا وبينهم الصلاة فمن تركها فقد كفر অর্থ: “আমাদের ও তাদের মধ্যকার অঙ্গীকার হল সালাত। অত:পর যে ব্যক্তি তা পরিত্যাগ করবে সে কাফির হয়ে যাবে। হাদীসটি ইমাম তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং বর্ণনাসূত্রের নিরিখে হাদীসটিকে হাসান (সুন্দর) বলেছেন। সালাত  ইসলামের স্তম্ভ ও বড় নিদর্শন এবং বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনকারী। সহীহ হাদীসে এর প্রমাণ।রাসূলুল্লাহ সা. বলেন: إن أحدكُم إذا صَلَّى يُناجي ربَّه অর্থ: “নিশ্চয়ই তোমাদের কেউ যখন নামায আদায় করে তখন সে তার প্রতিপাল

সালাত ত্যাগের শাস্তি

 রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন ১।  হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন  -জাহান্নামনামক দোযখে বিরাট একটি গর্ত আছে তাহার নাম অয়েল। এই জায়গা এতই কঠিন আজাবে পরিপূর্ণ যে, অন্যান্য দোযখীগণ প্রত্যেক দিন সত্তর বার আল্লাহপাকের নিকট আরজ করবে, হে আল্লাহ্ তাবারুক তায়ালা! তুমি আমাদিগকে ঐ অয়েল দোযখ হইতে রক্ষা করিও। ২। যাহারা নামায পড়িতে আলস্য করে সময়মত নামায পড়েনা, মাঝে মাঝে পড়ে এইরূপ ব্যক্তিদের কেমন শাস্তি হইতে পারে। ৩। হাদীসে উল্লেখ আছে, প্রতি ওয়াক্ত নামায ছাড়িয়া দেয়ার জন্য আশি ছোকবা দোযখে থাকতে হবে। দুনিয়ার আশি বৎসর সমান এক ছোকবা হয়। তাহার আশি ছোকবাঅর্থৎ ১৬০০ (এক হাজার ছয়শত) বৎসর এক ওয়াক্ত নামায কাযা করলে দোযখে থাকতে হবে। যাহারা মোটেই নামায পড়েনা এবং নামাযের প্রতি মিশ্বাসও রাখেনা তাদের অনন্তকাল দোযখে থাকতে হবে। ৪। নবী করীম (সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,মুসলমান এবং কাফেরের মধ্যে পাথক্য এই, মুসলমাননামায পড়ে আর কাফের নামায পড়ে না। কাজেইবেনামাযী কাফেরের মধ্যে গণ্য হয়ে যায়। যদি কেহ বলে কিসের নামায, নামায পড়িয়া কি হইবে, সাথে সাথে সে কাফের হইয়া যাইবে। অনেক লোক বলে আমরা গরীব মানুষ রুজী রোজগার করতে হ