Posts

Showing posts from May, 2017

নারী পুরুষের সালাতের পদ্ধতিগত কোন পার্থক্য আছে কি

প্রশ্ন: নারী-পুরুষের সালাতের পদ্ধতিগত কোন পার্থক্য আছে কি? উত্তর : মুসলিম জাতীর জন্য একটি ফরয ইবাদত হচ্ছে সালাত বা নামায। যা কোন অজুহাতেই পরিত্যাগ করা সম্ভব নয়। আর পরকালে সর্বপ্রথম এই সালাতের হিসাব নেয়া হবে। তবে আমাদের সমাজে পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে সালাত আদায়ে পার্থক্য দেখা যায়। কিন্তু মহানবী (সঃ) কখনও বলে যাননি যে, পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে সালাত আদায়ে পার্থক্য আছে। তাঁর সময় নারী-পুরুষ একসাথে জামায়াতে নামায আদায়ের বহু হাদিস রয়েছে। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “ছল্লু কামা রআইতুমুনি উছল্লি” – “তোমরা সেই ভাবে সালাত আদায় কর , যেভাবে আমাকে সালাত আদায় করতে দেখ” (মেশকাত, ২য় খন্ড, হাদীস ৬৩২) এবং রাসূলের আনুগত্য না করে অন্য কারো আনুগত্য করলে তাকে নিজের ‘রব’ বানানো হবে, যেহেতু আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, “তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে তাদের আলেম ও পীর/ দরবেশদেরকে নিজের ‘রব’ বানিয়ে নিয়েছে।” (সূরা তওবা: আয়াত ৩১) সালাত আদায় করার জন্য নারী পুরুষ কারোর জন্য স্বতন্ত্র নিয়ম করা হয়নি। জিবরাঈল (আঃ) মহান আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ ক্রমে দুই দফায় রাসূল (সাঃ)-কে পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের নিয়ম পদ্ধতি ইমামতি করে বা

জাহান্নামে যাওয়ার জন্যে শয়তান কিভাবে ধোকা দেয় দেখুন বিস্তারিত

জাহান্নামে নেওয়ার জন্যে শয়তানের বিছানো কিছু ধোকার নমুনা দুনিয়াটা মস্ত বড়, খাও দাও করো। ২. তরুণ বয়স আর ফিরে আসবেনা, লাইফটাকে এখনই এনজয়(!) করে নাও। ৩. বিয়ের আগ পর্যন্ত নষ্টামি, বাদরামি, যিনা যা ইচ্ছা করো। ভালো দেখে একটা মেয়েকে বিয়ে করে বিয়ের পরে তাওবা করে নিলেই হবে। ৪. ছেলে-মেয়েকে বিয়ে দিয়ে হাজ্জ করতে যাবো। ৫. হজ্জ করে হারাম ইনকাম ছেড়ে দেবো। ৬. এখন হাজ্জ করে ফেললে নষ্টামি, বাদরামি আর করা যাবেনা। তাই মরার আগে বুড়া বয়সে যখন পাপ করার মতো আর শক্তি থাকবেনা, তখন তাওবা করে হাজ্জ করতে যাবো। ৭. ভাইয়া আমার বয়স অল্প, আর আজকালকার মেয়েরা খোলামেলা ড্রেস পড়ে। তাই দৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রন রাখতে পারিনা। ৮. দাড়ি রাখলে সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করা যাবেনা, বিয়ে করে বউয়ের পারমিশান(!) নিয়ে দাড়ি রাখতে হবে। নাউজুবিল্লাহ ৯. নামাযী বয়ফ্রেন্ড, হিজাবী গার্লফ্রেন্ড। ১০. এনার্জি ড্রিংক (আসলে মদের শরবত)। ১১. ইসলামী(!) নাশিদ, ড্যান্স। (ধোঁকা) ১২. হিজাবী আপু (শুধুমাত্র মাথায় স্কার্ফ)। ১৩. ফ্যাশান হাউজ, বিউটি কনটেস্ট (পতিতা নারীদের অনুকরণ করে তাদের মতো ইজ্জত বিক্রি করে দেওয়ার ট্রেনিং সেন্টার)। ১৪. ইসলামী(!) গণতন্ত্র। ১৫. বড় হুজুর বা

আল্লাহ নিজেকে বোঝাতে আমরা শব্দটি ব্যবহার করেছেন কেন

কুরআনে বিভিন্ন স্থানে আল্লাহ নিজেকে বোঝাতে “আমরা” শব্দটি ব্যবহার করেছেন কেন? পবিত্র কুরআনে বহুবচনের ব্যবহার এবং একটি সন্দেহের জবাব সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য। আমরা এমন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি যে বিষয়টি শুধু অমুসলিম নয়, অনেক মুসলিমের কাছেও স্পষ্ট নয়। অনেক অমুসলিম প্রশ্ন করে থাকেন, ইসলাম কি একের চেয়ে অধিক সংখ্যক আল্লাহতে বিশ্বাসী? কারণ পবিত্র কুরআনে প্রায়ই আল্লাহ সুবহানুওয়া তায়ালার বক্তব্যে "আমরা" শব্দটির বহুল প্রচলন প্রদর্শিত হয়। এবিষয়ে অনেকের বাড়াবাড়ি তো এ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, তারা বলে, কুরআনে আসলে ত্রিতত্ত্ব বা ট্রিনিটির কথা বলা হয়েছে আর মুসলিমরা নাকি গত ১৪০০ বছর ধরে এর ভুল ব্যাখ্যা করে যাচ্ছে! আবার অামেরিকার একদল ভ্রান্ত লোক এতে নাকি এশিয়ান কালো মানুষদের প্রতি ইংগিত খুঁজে পাচ্ছেন! আসলে ব্যাপারটা কি? আমরা তো জানি ইসলাম একটি কঠিন মনোথিস্টিক (শুধুমাত্র একজন আল্লাহতে গভীর বিশ্বাস) ধর্ম। ইসলাম বিশ্বাস করে যে- আল্লাহ তাঁর যোগ্যতায় এক এবং অদ্বিতীয় । তাহলে? এর ব্যাখ্যা কি? শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমিয়্যা এর ব্যাখ্যয় বলেছেন, "আরবি সাহিত্যের একটি বৈশিষ্ট্য হ

মহান আল্লাহ কেন পাপিদের কে সাস্তি দিচ্চেনা

আল্লাহ্‌ আছে কি নেই সন্দেহে ভুগছেন  তাহলে পড়ুন তোমরা কি দেখো না যে পৃথিবীতে সব কিছুই তোমাদের অধিনস্ত করে ছে  এত বড় সমুদ্রের মাঝে ছোট ১টি জাহাজ কার নির্দেশে ভেসে থাকতে পারছে  তিনি আল্লাহ্‌ যিনি আকাশকে পৃথিবীর উপর ধসে পড়া থেকে ঠেকিয়ে রেখেছেন । নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ মানুষের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু ও রহমশীল । সুরা হাজ্জ ৬৫ যারা দুনিয়াতে এত অত্যাচার করে বেড়াচ্ছে, লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করছে, তারা সবাই অনেক সুখে আছে । টেকনোলোজি, টাকা-পয়সা, আরাম-আয়েস কোন কিছুইতেই তো তারা পিছিয়ে নেই । আল্লাহ্‌ সত্যি হয়ে থাকলে তাদের উপর আযাব কেন আসে না উত্তরঃ  আমি তো পূর্বেও বহু জনপদকে ছাড় দিয়েছি এমতাবস্থায় যে, তারা গোনাহগার ছিল। এরপর তাদেরকে আমার চারপাশ থেকে আমার আযাব দ্বারা পাকড়াও করেছি এবং আমার কাছেই সবাইকে প্রত্যাবর্তন করতে হবেসুরা হাজ্জ ৪৮  কত মানুষ আছে যারা কুরআনের বিরুদ্ধে আল্লাহ্‌র বিরুদ্ধে মহানবীর(সা) বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। তাদের তো কিছুই হচ্ছে না। উত্তরঃ  কতক মানুষ জ্ঞান; প্রমাণ ও স্পষ্ট দলিল ছাড়াই আল্লাহ সম্পর্কে বিতর্ক করে। সে পার্শ্ব পরিবর্তন করে বিতর্ক করে, যাতে মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে বিভ্রা