বিদআত কি বিদআত কাকে বলে
(১) জানতে হবে বিদ,আত কি্ । বিদ আত কাকে বলে । জানতে হবে শিরক কি । শিরক কাকে বলে । জানতে হবে আপনি যেই আমল করছেন তা কি ইসলাম শরীঅত অনুসারে কি না। কুরআন হাদীসে সহীহ কোন দলীল আছে কি না । বিদাআত সম্পর্কে জানার পর সরাসরি ACTION এ না গিয়ে আলোচনা করুন করুন যেই কাজগুলো কে বিদাআত বলা হয় ওই কাজগুলির কুরআন হাদীস এ সহীহ কোন দলিল আছে কিনা । তা যাচাই করুন ,মানুষ ইসলামের সঠিক পথ দেখাতে সাহায্য করুন। কারন
(১) নবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি এমন আমল করবে যার ব্যাপারে আমার শরীতের নির্দেশনা নেই, উহা প্রত্যাখ্যাত।”(২) অপর হাদিসে রাসুল (সাঃ)বলেন-"নিঃসন্দেহে সর্বোত্তম কথা হচ্ছে আল্লাহ্ কিতাব, সর্বোত্তম পদ্ধতিহচ্ছে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)এর পদ্ধতি।আর নিকৃষ্ট কাজ হচ্ছে শরীয়াতে নতুন কিছু সৃষ্টিকরা, এবং প্রত্যেকবিদ'আত হচ্ছেভ্রষ্টতা। [(মুসলিম- হা/৮৬৭, ইঃফাঃ ১৮৭৫,পব-৮: জুমু-আহ,অধ্যায়-১৩) ;;(মেশকাতঃ ৫ম আধ্যায়, আল্লাহর কিতাব ওসুন্নাহকে আকড়ে ধরা, হা/১৪১ )](৩) রাসুল (সাঃ) বলেছেন, " বনী ইসরাঈল ৭২দলে বিভক্ত হয়েছিল। আমারউম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। এক দল ব্যতীত সবাই জাহান্নামী হবে। সাহাবায়ে কিরাম বললেন, সেটি কোন দল। তখন রাসুল (সাঃ) বললেনঃ "আজকের দিন আমি ও আমার সাহাবীগন যার উপরে আছি, তার উপরে যারা টিকে থাকবে" [ তিরমিযী- হা/২৬৪১, অধ্যায় 38:ঈমান, অনুচ্ছেদ১৮: উম্মাতেন অনৈক্য) ইবনু মাজাহ- হা/৩৯৯৩;; আবূ দাউদ- ৪৫৯৬] (৪) রাসুল (সাঃ) বলেছেন- "নিকৃষ্ট কাজ বিদআত, প্রত্যেক বিদ'আত হচ্ছে ভ্রষ্টতা, আর ভ্রষ্টতার পরিনাম জাহান্নাম" (নাসাঈ- হা/১৫৭৮, পব-১৯,অধ্যায়-২২, নবী'র (সাঃ) খুতবা কিরূপ ছিল(৫) তিন ব্যক্তি রাসুল (সাঃ) এরচাইতে বেশী ইবাদত করার শপথ করলে। তখন রাসুল (সাঃ) বললেন "যে আমার সুন্নাহ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে সে আমার দলভুক্ত নয়।" [বুখারী-
হা/৫০৬৩, ইঃফাঃ হা/৪৬৯৩ মুসলিম- ১৪/১ হা/১৪০১] (৬) রাসুল (সাঃ) বলেছেন-
"কিয়ামত এর দিন নবী (সাঃ) ও বিদআতিদের মাঝে পরদা পরেযাবে। বিদআতি'রা হাউযে কাওছারের
পানি পান করা হতে বঞ্চিত হবে" [বুখারী-হা/ ৬৫৮৪, ৭০৫০, ৭০৫১;ইঃফাঃ ৬৫৭৪ মুসলিম- অধ্যায়-৪৪/৯, হা/ ২২৯০, ২২৯১; ইঃফাঃ হা/৫৭৬৮](৭) আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেন তোমাদের মাঝে দুটি জিনস রেখে যাচ্ছি; তা যদি তোমরা শক্তভাবে ধারণ কর, তবে কোন দিন পথভ্রষ্ট হবে না তা হল আল্লাহর কিতাব ও আমার সুন্নাহ । (মুয়াত্তা মালিক মেশকাত ১ম হাঃ/ ১১৭) অর্থাৎ কুরআন ও হাদিস আমাদের জন্য আঁকড়ে ধরা একান্ত আবশ্যক। তাই বিদআত থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য অপরিহার্য। আর ঐসব শিরর্ক বিদআত এবং পথভ্রষ্টতা থেকে বাঁচার জন্য আকড়ে ধরুন ও অনুসরন করুন শুধু মাত্র তাই যা আল্লাহ ও তার রাসূল (সাঃ) আমাদেরকে বলেছেন। ইলম (দ্বীনের জ্ঞান) অর্জন করা সকল মুসলিম জন্য ফরজ (ইবনে মাজাহ- হা/২২৪) যে ব্যক্তি দ্বীন অর্জনের পথে গমন করে আল্লাহ্ তার জান্নাতের রাস্তা সহজ করে দেন।" (মুসলিম- হা/২৬৯৯) আল্লাহ্ আপনাকে পৃথিবী এবং আখিরাতে সার্বিক কল্যাণ দান করুন।
আসসালামুআলাইকুম
ReplyDeleteআলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো
আল্লাহ আপনাদের সুস্থ রাখুক
যাযাকাল্লাহুখইর