জানা অজানা জরুরী বিষয়

 

হিন্দু ধর্মের নতুন তথ্য ফাঁস

মুহাম্মদ (স) এর নাম হিন্দু ধর্মগ্রন্থে সরাসরি দেওয়া আছে
হোতার মিন্দ্রো হোতার মিন্দ্রো মহাসুরিন্দ্রবোঃ।
অল্লো জ্যেষ্ঠং শ্রেষ্ঠং পরমং পূর্ণং ব্রক্ষণং অল্লাম।
অল্লো রাসুল মুহাম্মদ রকং বরস্য অল্লো অল্লাম।
আদল্লাং বুকমেকং অল্লাবুকং ল্লান লিরখাতকম ।
(বেদ অল্লো পনিষদ -সপ্তম পরিচ্ছেদ )
অর্থাৎ “ দেবতাদের রাজা আল্লাহ আদি ও সকলের বড় ইন্দ্রের গুরু ।
আল্লাহ পূর্ণ ব্রক্ষা,মুহাম্মদ আল্লাহর রাসুল পরম বরণীয়,আল্লাহই আল্লাহ ।
তাহার অপেক্ষা শ্রেষ্ট আর কেহ নাই।আল্লাহ অক্ষয়,অব্যয়,স্বয়ম্ভু ।
সাম বেদঃ হিন্দুদের এ শাস্ত্রে শ্রীকৃষ্ণের নাম গন্ধ ও নেই ।
সেখানে যার কথা আছে তার নাম –
“ মদৌ বর্তিতা দেবা দ কারান্তে প্রকৃত্তিতা।বৃক্ষানং ; ভক্ষয়েৎ সদা মেদা শাস্ত্রেচ স্মৃতা ” (সামবেদ)
অর্থাৎ ‘’ যে দেবের নামের প্রথম অক্ষর ‘ম’ ও শেষ অক্ষর ‘দ’ এবং যিনি বৃষ
মাংস (গরুর মাংস ) ভক্ষন সর্ব কালের জন্য পুনঃ বৈধ করবেন , তিনিই হবেন বেদানুযায়ী ঋষি ।
মুহাম্মদ {সাঃ} এর নামের প্রথম ও শেষ অক্ষর বেদের নির্দেশ মত যথাক্রমে ‘ম’ও ‘দ’ ।
আমরা জানি মুসলিমরা গরুর মাংস খায় ,হিন্দুরা কিন্তু খায় না।

আপনার ইবাদত হয়ে গেছে রোবট এর মত!! 



আপনি সালাতে রুকুতে যাচ্ছেন,সেজদায় যাচ্ছেন,
কিন্তু কেন করছেন??
আপনার কি মনে হচ্ছে না আপনার সালাত শুধুই হয়ে যাচ্ছে
সালাতের যে নিয়ম গুলা follow করতে হয় শুধু সেই নিয়ম মানা!!!
আপনি জানেনই না কেনই বা সালাতে রুকু করছেন!!
কেনই বা সালাতে সিজদা দিচ্ছেন!!
ভাই ও বোনেরা আপনার সালাত পড়ার intention এর
পরিবর্তন আনুন...।
রোবটের মত শুধু নিয়ম মেনে নিজেকে সালাতের মধ্যে
moving না করিয়ে আপনার সালাতের মধ্যে
প্রতিটি কাজ কেনই বা করছেন তার কারন খুজে বের করুন।
আর এর জন্য রুকু সেজদা এগুলাতে আপনি কি পাঠ করছেন
তার অর্থ জানা আবশ্যক,কারন আপনি ঘুমালে সপ্নও দেখেন
আপনার নিজের মাতৃভাষায়,তাই সেই তাসবিহ গুলার অর্থ
জেনে নিয়ে আপনাকে সালাতের রুকু সেজদার
মানে খুজতে হবে...।।
রুকু’র তাসবিহঃ
সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম
(আমার মহান মর্যাদাশীল প্রভুর পবিত্রতা বর্ননা করছি)/( ‘আমার মহান প্রভু সকল দোষ – ত্রুটি থেকে পবিত্র।’)
ভাবুন আপনি কি পাঠ করছেন.........
আপনি আপনার রবের একটা অন্যতম দিক বর্ননা করছেন,
আর সে জন্য আপনি আপনার মাথা ঝুকিয়ে
আপনার রবের কাছে নত হয়ে বলছেন আপনি মহান,আপনি পবিত্র!!
আর আল্লাহ খুশি হয়ে আপনার গুনাহ ঝড়িয়ে দিচ্ছেন!!
এর আনন্দই আপনার মধ্যে আনার চেষ্টা করুন।।
এভাবে নিজের সালাতকে নিয়ে যান এক অন্যতম লেভেল এ......।।
রুকু থেকে দাঁড়িয়ে তাসমি পাঠ করবে।
তাসমিঃ সামি আল্লাহুলিমান হামিদাহ
(যে আল্লাহ’র প্রশংসা করে তিনি তা শোনেন)
তারপর তাহমিদঃ রাব্বানা লাকাল হামদ
(সকল প্রশংসা আল্লাহ’র জন্য)
তারপর সিজদা। সিজদার সময় পরিপুর্ন ভাবে খেয়াল রাখবে যে, আমি আল্লাহ’র কাছে পুর্নভাবে আত্মসমর্পন করছি।
সিজদার তাসবিহঃ
সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা
(আমার শ্রেষ্ঠ প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ননা করছি)
দুই সাজদার মধ্যবর্তী দু’আ:
আল্লাহু ম্মাগ ফিরলী ওয়ার হামনি ওয়ার যুক্কনী
অর্থ : ‘আয় আল্লাহ ! আমাকে মাফ করে দাও, আমার প্রতি দয়া করো, আমাকে সঠিক পথে চালাও, আমাকে সুস্থ রাখো এবং আমাকে জীবিকা দান করো।’
দুনিয়ার কোন কাজের জন্য আমরা একে অন্যের সাথে
প্রতিযোগিতা করি যে কারটা বেশি সুন্দর!!
কিন্তু আপনার আখিরাতের ভিত্তির
প্রতিটি ইটের মধ্যে সিমেন্ট হিসেবে সে সালাত কাজ করবে
অর্থাৎ যার সালাত যত মজবুজ হবে তার ভিত্তি তত শক্ত হবে...
সেই ভিত্তি নির্মানের জন্য কোনরুপ প্রতিযোগিতা আমাদের মধ্যে নেই!!
আমরা কখনো ভেবেও দেখি না যে
"আমার সালাত সবার থেকে সুন্দর করতে হবে"
আর এই চিন্তা না করার কারন একটাই
তা হলো সালাত আমরা পড়া হিসেবে নিয়েছে কায়েম হিসেবে নয়!!
জাগ্রত হঊন...........................।।
আল্লাহ আমাদের তৌফিক দিক
সালাতকে সুন্দর ও অর্থবাহুল করার......


 রাসুল সা. সালাতের মধ্যে কতগুলো কার্যকে নিষিদ্ধ করেছেন। তা হলো- ১. দু’পা একত্রে মিলিয়ে দাঁড়ানো (নারীগন দাঁড়াতে পারে), ২. এক পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ানো, ৩. নিতম্বের উপর বসে হাটুদ্বয় খাড়া করে দু হাত যমীনে রাখা, ৪. চাদর বা অন্য কাপড় এমনভাবে জড়িয়ে নেয়া যে, হাত তার ভিতরে থাকে এমনকি রুকু সিজদার সময়ও তা বের হয়না, ৫. সিজদার সময় বস্র উঠানো, ৬. জামার উপর লুঙ্গি বা পাজামা পরিধান (ইমাম আহমদের মতে), ৭. কোমরে হাত রাখা, ৮. তকবীরের সাথে তিলাওয়াত বা তসবীহ মিলিয়ে পড়া, ৯. ইমামের আগে বা সাথে মিলিয়ে তকবীর বলা, ১০. প্রথম সালামের সাথে দ্বিতীয় সালাম মিলিয়ে বলা, ১১. প্রাকৃতিক প্রয়োজনের বেগ নিয়ে সালাত শুরু, ১২. খাদ্য-পানীয়ের উপায় থাকা সত্ত্বেও অধিক ক্ষুধা-তৃঞ্চা নিয়ে সালাত, ১৩. ক্ষুদ্ধ বা ক্রুদ্ধ দিল নিয়ে সালাতে দাড়ানো।
এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, সালাতের মধ্যে সাতটি কাজ শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে; ১. নাক দিয়ে রক্ত আসা (অসুস্থতা ভিন্ন কথা)। বিনা কারণে এরূপ হলে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইবে। ২. নিদ্রা আসা, ৩. মনে কুমন্ত্রণার উদয়, ৪. হাই তোলা, ৫. শরীর বা মাথা চুলকানো, ৬. এদিক ওদিক দৃষ্টিপাত এবং ৭. কোন কিছু নিয়ে খেলা করা।
সালাতের সময় এদিক সেদিক দৃষ্টিপাত, অনর্থক মুখ মোছা, আঙুল ফোটানো, রুকু থেকে দাঁড়িয়ে বা অন্য সময় হাত ঝাকি মেরে সোজা করা, অনর্থক কাশি বা গলা খাকরি দেওয়া, মানুষের চলাচলের পথ সামনে রেখে সালাত আদায় গুরুতর অন্যায়।
হযরত হাছান বসরী রঃ বলেন, যে সালাতে মন হাযির না থাকে, তা দ্রুত আযাবের দিকে পৌছে দেয়। 
রাসুল সা. বলেছেন, মানুষ সালাত আদায় করে কিন্তু তার ষষ্টাংশ বা দশমাংশও লিখিত হয়না, লিখা হয় শুধু ততটুকু, যতটুকু সে বুঝে শুনে পড়ে। কোন কোন সাহাবী বর্ণনা করেছেন যে, কিয়ামতে মানুষ সেই অবস্থায়ই উত্থিত হবে, যে যার সালাতে যেরূপ অবস্থায় ছিলো। অর্থাৎ সালাতের মধ্যে যে পরিমাণ প্রশান্তি, স্থিরতা এবং আনন্দ লাভ করবে।


নারী এবং পুরুষের নামাজে পার্থক্যঃ


 নারী এবং পুরুষের নামাজ আদায়ের পদ্ধতিতেও বিস্তরপার্থক্য রয়েছে যেমন-

১. স্ত্রী লোকগণ নামাজ আদায়ের সময় বড়চাদর দ্বারা সমস্ত শরীর ঢেকে নামাজপড়বে, যেনশরীরের বর্ণ বা মাথার কেশ কারো দৃষ্টিগোচর না হয়। যদি শরীরের বর্ণবা মাথার কেশ অন্যের দৃষ্টিগোচর হয় তবে এটা নামাজী মহিলার ছতর উন্মুক্তবলে বিবেচিত হবে এবং উন্মুক্ত ছতরে নামাজ শুদ্ধ হয় না।

(ফাতাওয়ায়ে-আজীজিয়া, হেদায়া ১ম খন্ড, ৫৯ পৃ.;কবীরী, পৃ. ২১৩)

২. শুধু স্ত্রীলোকদের নামাজে আজান একামতদিতে হয় না। (ফাতাওয়ায়ে আজীজি)

৩. তকবীরে তাহরিমা বলার সময় দুই হাত কানবরাবর না উঠিয়ে কাঁধ বরাবর উঠাতে হবে। (হেদায়া ১ম খন্ড, ৬৪ পৃ.)

৪. তাহরীমা বাঁধা অবস্থায় দুই হাতস্তনের নিচে রাখবে। (কবীরী, ফাতাওয়ায়েআজিজী, পৃ.২৪৮)

৫. সিজদা থেকে উঠে বসার সময় দুই পা ডানদিকে রেখে নিতম্বের উপর রাখবে। (হেদায়া, কবিরী, ফাতাওয়ায়ে আজিজী) তবেমেয়েরা সিজদা থেকে উঠে যদি পুরুষদেরন্যায় বসেন তবুও দোষের কিছু হবে না। হযরত মকহুল (রাহ.) বলেন যে, সাহাবী হযরতআবুদ দারদা (রা.)-এর মাতা পুরুষদের ন্যায় বসতেন। (মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক)

৬. স্ত্রী লোকগণ নামাজের তকবীর, কেরাআত ও সালামউচ্চঃস্বরে আদায় করবেন না।

৭. জামাতে নামাজ আদায় করার বেলায় যদিইমামের কোন ভুল হয়ে যায় তবে স্ত্রীলোকগণ মুখে তকবীর বলে লোকমা দিবেন না; বরং এক হাতের পিঠদ্বারা অন্য হাতের পিঠে আঘাত করে ইমামকে সতর্ক করবেন।

৮. সিজদা করার সময় নিতম্ব পুরুষের ন্যায়খাড়া না করে উদর উরুর সাথেলাগিয়ে নিতান্ত সংযত অবস্থায় সিজদা করবেন। (হেদায়া, কবিরী, ফাতাওয়ায়ে আজিজী)

ফকীহগণের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, স্ত্রী লোকগণ জড়োসড়োঅবস্থায় নিতান্ত সংযতভাবে রুকু-সিজদা করবেন।


 নামাযের নিষিদ্ধ সময়ঃ

সূর্যোদয়ের সময়, ঠিক দ্বিপ্রহর এবং সূর্যাস্তের সময় যে কোন নামায পড়া, সিজদার তেলাওয়াত করা জায়েয নাই। যদি আছরের নামায না পড়িয়া থাকে তবে শুধু মাত্র ঐ দিনকার আছরের নামায সূর্যাস্তের সময় পড়িতে পারিবে । তবে উহাও মাকরূহ তাহারীমির সাথে আদায় হইবে ।

সুন্নত ও নফল নামাযের নিষিদ্ধ সময়ঃ

ফজরের সময় হইলে ফজরের সুন্নত দুই রাকাআত ছাড়া অন্য কোন সুন্নত বা নফল পড়া।সূর্যাস্তের পর মাগরিবের নামায পড়ার পূর্ব পর্যন্ত ।উভয় ঈদের নামায পড়া পর্যন্ত। এই সমস্ত সময় নামায পড়া মাকরূহ । কাযা, জানাযা নামায, সিজদায়ে তেলাওয়াত করা জায়েয আছে ।ফরয নামাযের ইক্বামত বা জামাতের সময় ও সুন্নত বা নফল পড়া মাকরূহ ।নামাযের সময় সংকীর্ণ হইলে ওয়াক্তিয়া ফরয ব্যতীত অন্য যে কোন নামায পড়া মাকরূহ । জুমআর খুৎবার জন্য ইমাম মিম্বরে দাঁড়াইলেই সুন্নত বা নফল পড়া মাকরূহ ।




সিজদা সাহুর বিপনঃ

আপনার নামায/সালাতের ভিতর যদি কোন ওয়াজীব তরক হয়ে যায় তাইলে আপনাকে অবশ্যই সাহু সিজদা দিতে হবে। যদি না দেন তাইলে আপনার নামায হবে না। সাহু সিজদা দেয়ার নিয়ম হল শেষ রাকাতে আত্তাহিয়্যাতু পড়ে শুধু ডান দিকে সালাম ফিরিয়ে ২ টি সিজদা দিতে হবে। ২ সিজদার মাঝখানে অবশ্যই ১ তাসবীহ পরিমান সোজা হয়ে বসতে হবে। তারপর যথারীতি আবার আত্তাহিয়্যাতু, দুরুদ শরীফ ও দোয়া মাসুরা পড়ে নামায শেষ করতে হবে। তবে নামাযে যদি কোন ফরয তরক হয়ে যায় তাইলে সাহু সিজদা দিয়ে কোন লাভ হবে না। আবার নতুন করে নামায পড়তে হবে। অনেককেই দেখা যায় কোন কারন ছাড়াই সব নামাযের শেষে একটা সাহু সিজদা দিয়ে দেয়। এটা ঠিক নয়। আমি এখানে সহজ ভাবে নামাযে কখন সাহু সিজদা দিতে হবে আর কখন দিতে হবে না এই মাসলা- মাসায়েল গুলি নিয়ে আলোচনা করবো। সাহু সিজদার এই মাসলা গুলি ছেলে মেয়ে উভয়ের নামাযের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তবে আপনি যদি জামাতে নামায পড়েন তাইলে ইমাম সাহেব যদি সাহু সিজদা দেয় তাইলে আপনি দিবেন। আর যদি আপনি জামাতে মাসবুক মানে ১ রাকাত পরে উপস্থিত হন আর যদি আপনার নিজে পড়ার রাকাতে কোন ওয়াজীব তরক হয়ে যায় তাইলে আপনি সাহু সিজদা দিবেন।

১. ফরজ নামাযের প্রথম ২ রাকাতে সুরা ফাতেহা পড়া ওয়াজীব। যদি আপনি ফরজ নামাযের প্রথম রাকাত বা ২য় রাকাত বা উভয় রাকাতেই সুরা ফাতেহা ভুল বশত না পড়েন তাইলে আপনাকে সাহু সিজদা দিতে হবে। আবার ফরজ নামাযের ৩য়/৪র্থ রাকাতে সুরা ফাতেহা পড়া সুন্নত। আপনি যদি যে কোন ফরজ নামাযের ৩য়/৪র্থ রাকাতে সুরা ফাতেহা ভুল বশত নাও পড়েন তাইলে আপনাকে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে না।

২. ফরজ নামাযের প্রথম ২ রাকাতে সুরা ফাতেহা পড়ার পর অন্য একটি সুরা মিলানো ওয়াজীব। যদি আপনি ভুল বশত ফরজ নামাযের প্রথম ২ রাকাতে সুরা ফাতেহা পড়ার পর অন্য কোন সূরা না পড়েন তাইলে আপনাকে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে। আবার ফরজ নামাযের ৩য়/৪র্থ রাকাতে সুরা ফাতেহা পড়ার পর অন্য কোন সুরা পড়ার নিয়ম নেই। তবে আপনি ভুল বশত ফরজ নামাযের ৩য়/৪র্থ রাকাতে সুরা ফাতেহা পড়ার পর অন্য কোন সুরা পড়ে ফেললে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে না।
৩. সুন্নত ও নফল স্কল নামাযেই সকল রাকাতেই সুরা ফাতেহা পড়া ও সুরা ফাতেহা পড়ার পর অন্য একটি সুরা মিলানো ওয়াজীব।আপনি যদি যে কোন সুন্নত/নফল নামাযের যে কোন রাকাতে সুরা ফাতেহা বা সুরা ফাতেহার পর অন্য একটি সুরা না পড়েন তাইলে আপনি একটি ওয়াজীব তরক করলেন। আপনাকে অবশ্যই সিজদায়ে সাহু দিতে হবে।

৪. ভুল করে যে কোন রাকাতে ২ রুকু বা ৩ সিজদা দিলে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে।

. সুরা ফাতেহা পড়ার পর এখন কি সুরা পড়বো এই চিন্তায় যদি ৩ তসবীহ পরিমান সময় চলে যায় তাইলে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে। অথবা কোন সুরার কোন আয়াত ভুলে গেছেন ঐ আয়াত কে স্মরন করার জন্য যদি ৩ তসবীহ পরিমান সময় চলে যায় তাইলে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে।ফরয ও সুন্নত নামাযের ১ম বৈঠকে যদি ভুলে ২ বার আত্তাহিয়্যাতু পড়ে ফেলেন তাইলে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে। আবার ফরয ও সুন্নত নামাযের ১ম বৈঠকে
আত্তাহিয়্যাতু পড়ার পর যদি দুরুদ শরীফের আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ পর্যন্ত পড়ে ফেলেন তাইলে শেষ বৈঠকে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে। তবে এরচেয়ে কম পড়ে ফেললে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে না। তবে নফল নামাযের যেকোন বৈঠকে ২ বার আত্তাহিয়্যাতু পড়ে ফেললে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে না।

৬. যেকোন বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়ার সময় যদি ভুলে সুরা ফাতেহা পড়ে ফেলেন তাইলে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে। তবে নিয়ত বাধার সময় ছানার বদলে ভুলে দোয়া কুনুত পড়ে ফেললে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে না।

৭. ৩/৪ রাকাত বিশিষ্ট নামাযে প্রথম বৈঠক ভুলে গেছেন এবং ৩য় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে গেছেন, যদি অর্ধেকের কম দাঁড়িয়ে থাকেন তাইলে বসে পড়বেন এবং আত্তাহিয়্যাতু পড়ে ৩য় রাকাতের জন্য দাড়াবেন। এই অবস্থায় সিজদায়ে সাহু দিতে হবে না। আর যদি অর্ধেকের বেশি দাঁড়িয়ে যান তাইলে আর বসবেন না। ৩/৪ রাকাত নামায শেষ করে শেষ বৈঠকে সিজদায়ে সাহু দিবেন।

৮. যোহর ও এশার ৪র্থ রাকাতে বসতে মনে নাই। একদম সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ৫ম রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে গেছেন। তাও মনে হবার সাথে সাথে বসে পড়বেন। আত্তাহিয়্যাতু ও দুরুদ শরীফ পড়ে সালাম ফিরাবেন। এক্ষেত্রে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে না।আর যদি ৫ম রাকাতে সুরা ফাতেহা পড়ে ফেলেন এবং রুকুও করে ফেলেন তাইলেও বসে পড়বেন। এই অবস্থায় সিজদায়ে সাহু দিতে হবে। আর যদি রুকু করার পরও মনে না হয় তাইলে আরো ২ রাকাত পড়ে মোট ৬ রাকাত পড়বেন। এক্ষেত্রে শেষ ২ রাকাত নফল ও প্রথম ৪ রাকাত ফরয হিসাবে আদায় হল। কিন্তু আসরের নামাযে ৪র্থ রাকাতে এই রকম ভুল হলে মোট ৬ রাকাতই পড়বেন কিন্তু ঐ ৬ রাকাত পুরাটাই নফল হবে। কারন আসর নামাযের পর কোন নফল নামায নাই। এক্ষেত্রে আপনাকে পুনরায় আসরের নামায পড়তে হবে।

৯. নামায ৩ রাকাত পড়েছেন না ৪ রাকাত পড়েছেন এই রকম সন্দেহ যদি সব সময় হয়ে থাকে তাইলে এই সন্দেহের কোন ভিত্তি

Comments

Popular posts from this blog

ইমাম আবু হানিফার নামে মিথ্যা বানোয়াট প্রতারণা

পীর কাকে বলে হাক্কানী পীর বনাম ভন্ড পীর

মুসলিম মাযহাব ছাডবে কেন