Posts

আলেম ও দরবেশদের সত্য ঘটনা

            আলেম ও দরবেশদের নিজের রব বানিয়ে নেয়া [১] (আরবি) -শব্দটি –(আরবি) এর বহুবচন। ইয়াহুদীদের আলেমকে(আরবি) –বলা হয়। পক্ষান্তরে (আরবি)শব্দটি (আরবি) এর বহুবচন। নাসারাদের আলেমকে (আরবি) বলা হয়। তারা বেশীরভাগই সংসার বিরাগী হয়ে থাকে [ফাতহুল কাদীর] [২] এ আয়াতে বলা হয় যে, ইয়াহুদী-নাসারাগণ তাদের আলেম ও যাজক শ্রেণীকে আল্লাহর পরিবর্তে রব ও মাৰুদ সাব্যস্ত করে রেখেছে। অনুরূপ ঈসা আলাইহিস সালামকেও মা’বুদ মনে করে। তাকে আল্লাহর পুত্ৰ মনে করায় তাকে মা’বুদ সাব্যস্ত করার দোষে যে দোষী করা হয়, তার কারণ হল, তারা পরিষ্কার ভাষায় ওদের মা’বুদ না বললেও পূর্ণ আনুগত্যের যে হক বান্দার প্রতি আল্লাহর রয়েছে, তাকে তারা যাজক শ্রেণীর জন্যে উৎসর্গ রাখে। অর্থাৎ তারা যাজক শ্রেণীর আনুগত্য করে চলে; যতই তা আল্লাহর নির্দেশের বিরোধী হোক না কেন? বলাবাহুল্য পাদ্রী ও পুরোহিতগণের আল্লাহ বিরোধী উক্তি ও আমলের আনুগত্য করা তাদেরকে মা’বুদ সাব্যস্ত করার নামান্তর, আর এটি হল প্রকাশ্য কুফরী ও শির্ক। আদী ইবন হাতেম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি গলায় একটি সোনার ক্রুশ নিয়ে রাসূলুল্লাহ স

পীর প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআন পাকে বহু নির্দেশ আছে

হ্যাঁ পীর ধরতে হবে তবে পীর শব্দটি পবিত্র কোরআন পাকে নেই । কারন পীর শব্দটি ফার্সি ভাষা হতে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে । যেমনঃ নামাজ, রোজা, ফিরিস্তা, খোদা, ইত্যাদি শব্দগুলো কোরআন শরীফে-এ নেই । কারন উহা ফার্সি শব্দ , তবে এর প্রতিটি ফার্সি শব্দেরই প্রতিশব্দ কোরআন শরীফ আছে, যেমনঃ নামাজ- সালাত, রোজা- সাওম, ফিরিশ্তা- মালাকুন ইত্যাদি । আবার সালাত আরবি শব্দটি স্থান বিশেষ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয় । অনুরূপভাবে পীর ফার্সি শব্দের প্রতিশব্দ পবিত্র কোরআন শরীফের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন শব্দে প্রকাশ করেছেন, যথাঃ 'অলি' বহুবচনে আউলিয়া, মুর্শিদ, ইমাম, বহুবচনে আইম্মা, হাদি, ছিদ্দিকিন, ইত্যাদি । নিম্নে কিছু আয়াত শরিফের অর্থ পেশ করা হলঃ হে মুমিনগণ! তোমরা অনুসরণ কর, আল্লাহ্ পাক এর, তাঁর রাসুল পাক (দঃ) এর এবং তোমাদের মধ্যে যারা ধর্মীয় নেতা । — সুরাঃ নিসা, আয়াতঃ ৫৯ স্মরণ কর! সেই দিনকে যেদিন আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তাঁদের (ইমাম) নেতা সহ আহ্বান করব । — বনি ইসরাইল, আয়াতঃ ৭১ মুমিন পুরুষ ও মুমিনা মেয়েলোকের ভিতর হতে কতেক কতেকের বন্ধু । — সুরাঃ তাওবাহ, আয়াতঃ ৭১ তোমাদের মধ্যে এমন একদল লোক যারা কল্যাণ

সমস্ত সমস্ত কবর পূজারীদেরকে দাতভাঙ্গা জবাব দিয়ে দিলাম

সমস্ত খাঁজা-বাবা, গাঁজা-বাবা, পীর-ওলির মাজার ও উঁচু কবর ভেঙে ফেলতে হবেঃ যখনই কবর পূজার বিরুদ্ধে কথা বলতে যাই তখনই কবর পূজারীরা বলে আমরা নাকি অলি- আওলিয়াদের দুশমন। তাই এই সমস্ত কবর পূজারীদেরকে দাতভাঙ্গা জবাব দিয়ে দিলাম। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বার বার সতর্ক করে দিয়েছেন যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে আহবান করবে না।(১) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃﻣﻦ ﻣﺎﺕ ﻭﻫﻮ ﻳﺪﻋﻮ ﻟﻠﻪ ﻧﺪﺍ ﺩﺧﻞ ﺍﻟﻨﺎﺭ . ( ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ (যে আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ডাকা অবস্থায় মৃত্যু বরণ করল সে জাহান্নামে প্রবেশ করল। (বুখারীঃ৪৪৯৭) উক্ত বিষয় গুলো সতর্ক করে দেয়ার পরেও কবর পূজারীরা আল্লাহ এবং রাসুল (সাঃ) এর বিরুদ্ধাচারন করে মাজারে গিয়ে অলি-আউলিয়াদের নিকট আহবান করে থাকে।(২) রাসুল (সঃ) কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ করে গিয়েছেন কবরকে এবাদত খানায় পরিনত করতে।ﻋَﻦْ ﺟُﻨْﺪُﺏٍ ﻗَﺎﻝَ ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰَّ ﺃَﻻَ ﻭَﺇِﻥَّ ﻣَﻦْ ﻛَﺎﻥَ ﻗَﺒْﻠَﻜُﻢْ ﻛَﺎﻧُﻮْﺍ ﻳَﺘَّﺨِﺬُﻭْﻥَ ﻗُﺒُﻮْﺭَ ﺃَﻧْﺒِﻴَﺎﺋِﻬِﻢْ ﻭَﺻَﺎﻟِﺤِﻴْﻬِﻢْ ﻣَﺴَﺎﺟِﺪَ ﺃَﻻَ ﻓَﻼَ ﺗَﺘَّﺨِﺬُﻭْﺍ ﺍﻟْﻘُﺒُﻮْﺭَ ﻣَﺴَﺎﺟِﺪَ ﺇِﻧِّﻰْ ﺃَﻧْﻬَﺎﻛُﻢْ ﻋَﻦْ ﺫَﻟِﻚَ .জুনদুব (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, সাবধান! তোম

বিতিরের নামায কত

বিতির নামাযের রাকাত সংখ্যা ও তার পদ্ধতি বিতর নামায মূলতঃ তাহাজ্জুদ নামাযের অংশ। তাই রাত্রের পূরা কিয়ামুল্লায়লকেও বিভিন্ন হাদীছে বিতর বলা হয়েছে।[41] এই জন্যই পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিতর নামাযের উত্তম সময় হচ্ছে শেষ রাত- যখন তাহাজ্জুদ নামায পড়া হয়। কিন্তু সঙ্গত কারণ থাকলে তা এশার নামাযের সাথে পড়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে- এই নামাযের প্রতি অধিক গুরুত্বারোপ করার জন্য। বিতর নামাযের রাকাত সংখ্যা নির্দিষ্ট একটি সংখ্যায় সীমাবদ্ধ নয় এ নামায ১, ৩, ৫, ৭, ৯, ১১ ও ১৩ রাকাত পর্যন্ত পড়া যায়। (ক) এক রাকাত বিতর: এক রাকাত বিতর পড়ার নিয়ম হল, নিয়ত বেঁধে ছানা, সূরা ফাতিহা এবং অন্য একটি সূরা পড়ে রুকূ করবে। রুকূ থেকে উঠে দুআ কুনূত পড়বে। তারপর দু’টি সিজদা করে তাশাহুদ, দরূদ ও দুআ পড়ে সালাম ফিরাবে। আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: ]كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى وَيُوتِرُ بِرَكْعَةٍ[ রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের নফল নামায দু’দু রাকাত করে পড়তেন এবং এক রাকাত বিতর পড়তেন।[42] আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাযি

সমাজে প্রচলিত জাল হাদিস

আমাদের সমাজে প্রচলিত জাল হাদিস যা আমাদের সমাজে হাদিস নামে প্রচলিতঃ-  ১.(আল্লাহ বলেন) আমি আমার নিজের উপর শপথ করছি যে,আহমদ এবং মোহাম্মদ নামের কাউকে জাহান্নামে প্রবেশ করানো হবে না।  ২.তোমরা আলেমদের অনুসরন করবে;কারন তারা দুনিয়া ও আখিরাতের প্রদীপ।  ৩.মৃত ব্যক্তিকে ৭ দিন পর্যন্ত তার বাড়ির মানুষদের দেখতে পায়।  ৪.আল্লাহ আশুরার দিনে আসমান-যমীন সৃষ্টি করেছেন।  ৫.জান্নাতের বাসীরা দাড়ি বিহীন হবেন,শুধু মুসা ইবনে ইমরান (আ) বাদে,তার দাড়ি হবে নাভী পর্যন্ত।  ৬.দেশ প্রেম ইমানের অংশ।  ৭.মাসজিদের মধ্যে কখাবার্তা নেকী বা সওয়াব খেয়ে ফেলে।  ৮.বিবাহিতের দু রাকাত নামায অবিবাহিতের ৭০ রাকাত থেকে উত্তম।  ৯.আরাফার দিনের সিয়াম ৬০ বছরের সিয়ামের মত।  ১০.আমার উম্মতের আলেমগণ বনী ইসরাঈলের নবীগনদের মত।  ১১.মুমিনের কলব আল্লাহর আরশ  ১২.সুলাইমান (আ) এর আংটির নক্সার বা খোদিত লেখাটা ছিলঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।  ১৩.নবী(স) কে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ দুনিয়া সৃষ্টি করতেন না।  ১৪.জ্ঞানীদের কালি শহীদের রক্ত থেকে অধিক মর্যাদার।  ১৫.যে ব্যক্তি মাসজিদে মধ্যে দুনিয়াবী কথা বোলবে আল্লাহ তার ৪০ বছরের আমল

হানাফীদের জন্য প্রশ্ন পারলে উত্তর দিন

হানাফীদের পর্যুদস্ত করার জন্য কুরআন হাদিস আর ফিক্বহ পড়ার কোন দরকার নাই নিম্নের কয়েকটি বিষয় ভাল করে পড়েই তাদেরকে পর্যুদস্ত করে একশত শহীদের সওয়াব পেতে পার। ১. যখন কোন হানাফীর সাথে সাক্ষাত হয় তখন তাকে প্রশ্ন কর যে, আপনি যে ঘড়ি হাতে দিলেন এটা কোন হাদিস দ্বারা প্রমাণিত? এরকম প্রশ্নের জন্য কোন ইলমের প্রয়োজন নেই। তুমি একটি ছয় বছরের বাচ্চাকে মেডিকেল ষ্টোরে পাঠিয়ে দাও। সে ওষুধের উপর হাত রেখে প্রশ্ন করবে যে, এই ওষুধের নাম হাদিসের কোথায় আছে? এই প্রশ্নটির পর নিজের মসজিদে এসে বলবে যে, আমি অমুক হানাফী মাওলানা সাহেবকে হাদিস জিজ্ঞেস করলাম, সে বলতে পারেনি। তারপর তখন সকল গায়রে মুকাল্লিদ বাচ্চা ও বয়স্কদের উপর ফরজ হল, তারা প্রত্যেক অলিতে গলিতে এই প্রচারণা চালাবে যে, ওমুক হানাফী মাওলানা সাহেব একটি হাদিসও জানেনা। ২. দ্বিতীয় নাম্বার হল এই যে, আল্লাহ না করুন যদি তুমি কোথাও ফেঁসে যাও, আর তোমাকে জিজ্ঞেস করে বসে যে, তুমি যে পাঞ্জাবীতে পকেট লাগালে তার নাম হাদিসের কোথায় আছে? তখন ঘাবরিওনা, বরং তৎক্ষণাৎ তাকে জিজ্ঞেস কর যে, কোন হাদিসে এর নিষেধাজ্ঞা আছে? আর শোরগোল শুরু করে দিবে যে, নিষেধাজ্ঞার হাদিস দেখাতে পারবেনা,

মুহাম্মদ (স) এর নাম হিন্দু ধর্মগ্রন্থে সরাসরি দেওয়া আছে

মুহাম্মদ (স) এর নাম হিন্দু ধর্মগ্রন্থে সরাসরি বলা হয়েছে হোতার মিন্দ্রো হোতার মিন্দ্রো মহাসুরিন্দ্রবোঃ। অল্লো জ্যেষ্ঠং শ্রেষ্ঠং পরমং পূর্ণং ব্রক্ষণং অল্লাম। অল্লো রাসুল মুহাম্মদ রকং বরস্য অল্লো অল্লাম। আদল্লাং বুকমেকং অল্লাবুকং ল্লান লিরখাতকম । বেদ অল্লো পনিষদ -সপ্তম পরিচ্ছেদ । অর্থাৎ “ দেবতাদের রাজা আল্লাহ আদি ও সকলের বড় ইন্দ্রের গুরু । আল্লাহ পূর্ণ ব্রক্ষা,মুহাম্মদ আল্লাহর রাসুল পরম বরণীয়,আল্লাহই আল্লাহ । তাহার অপেক্ষা শ্রেষ্ট আর কেহ নাই।আল্লাহ অক্ষয়,অব্যয়,স্বয়ম্ভু । সাম বেদঃ হিন্দুদের এ শাস্ত্রে শ্রীকৃষ্ণের নাম গন্ধ ও নেই । সেখানে যার কথা আছে তার নাম – “ মদৌ বর্তিতা দেবা দ কারান্তে প্রকৃত্তিতা।বৃক্ষানং ; ভক্ষয়েৎ সদা মেদা শাস্ত্রেচ স্মৃতা ” (সামবেদ) অর্থাৎ ‘’ যে দেবের নামের প্রথম অক্ষর ‘ম’ ও শেষ অক্ষর ‘দ’ এবং যিনি বৃষ মাংস (গরুর মাংস ) ভক্ষন সর্ব কালের জন্য পুনঃ বৈধ করবেন , তিনিই হবেন বেদানুযায়ী ঋষি । মুহাম্মদ {সাঃ} এর নামের প্রথম ও শেষ অক্ষর বেদের নির্দেশ মত যথাক্রমে ‘ম’ও ‘দ’ । আমরা জানি মুসলিমরা গরুর মাংস খায় ,হিন্দুরা কিন্তু খায় না। (সবাইকে জানাতে শেয়ার ক

কিছু ক্ষেত্রে গীবত করা জায়েজ

গীবত একটি মারাত্মক কবীরা গুনাহ তবে কিছু ক্ষেত্রে গীবত বৈধ!!! ★যে সব কারণে গীবত বৈধ★ জেনে রাখুন যে, সঠিক শরয়ী উদ্দেশ্যে গীবত বৈধ; যখন গীবত ছাড়া সে উদ্দেশ্য পূরণ হওয়া সম্ভবপর হয় না। এমন কারণ ৬টিঃ- ১। অত্যাচার ও নির্যাতন: নির্যাতিত ও অত্যাচারিত ব্যক্তির পক্ষে বৈধ যে, সে শাসক, বিচারক প্রমুখ [প্রভাবশালী] ব্যক্তি যারা অত্যাচারীকে উচিত সাজা দিয়ে ন্যায় বিচার করার কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা রাখেন তাঁদের নিকট নালিশ করবে যে, ‘অমুক ব্যক্তি আমার উপর এই অত্যাচার করেছে। ২ মন্দ কাজের অপসারণ ও পাপীকে সঠিক পথ ধরানোর কাজে সাহায্য কামনা। বস্ত্ততঃ শরীয়ত বহির্ভূত কর্মকাণ্ড বন্ধ করার ব্যাপারে শক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিকে গিয়ে বলবে যে, অমুক ব্যক্তি মন্দ কাজে লিপ্ত । সুতরাং আপনি তাকে তা থেকে বাধা দিন ইত্যাদি। তবে এর পিছনে কেবল অন্যায় ও মন্দ কাজ থেকে বাধা দেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য হতে হবে অন্যথা তা হারাম হবে। ৩। ফতোয়া জানা। মুফতি বা আলেমের নিকট গিয়ে বলবে, আমার পিতা আমার ভাই বা আমার স্বামী অথবা অমুক ব্যক্তি এই অন্যায় অত্যাচার আমার প্রতি করেছে। তার কি কোন অধিকার আছে? এমন করার অধিকার যদি না থাকে তবে তা থেকে মুক্তি পাবার এবং অন্

ইমাম আবু হানিফার নামে মিথ্যা বানোয়াট প্রতারণা

আসুন হানাফী মাযহাবীদের কিছু মিথ্যা,বানোয়াট বক্তব্য শুনি- ◉ ইমাম আবু হানিফা (রহ.) ৫৫ বার হ্জ্জ্ব করেছেন। ◉ ইমাম আবু হানিফা (রহ.) আল্লাহকে ১০০ বার স্বপ্নে দেখেছেন। ◉ ৪০ বছর একটানা এশার ওযু দ্বারা ফজরের সালাত আদায় করেছেন। ◉ ৩০ বছর একটানা রোজা রেখেছেন। বছরের যেই পাঁচদিন রোজা রাখা হারাম, সেই পাঁচ দিন তিনি রোজা রাখেন নাই, তবে সেই ৫ দিনও তিনি কোন খাবার গ্রহণ করেন নাই। . ■তাহক্বীকঃ ৪০ বছর একটানা এশার ওযু দ্বারা ফজরের সালাত আদায় করার কিচ্ছাকে যদি সত্যি ধরে নেই তবে তাঁকে স্ত্রী সহবাস দিনে করতে হয়েছে। কিন্তু আবার বলা হচ্ছে ৩০ বছর একটানা রোজা রেখেছেন। অথচ রোজা রেখে দিনে স্ত্রী সহবাস অসম্ভব! সুতরাং এই দুটি কিচ্ছা একটি অপরটির বিপরতী। একটি বক্তব্যকে সত্য ধরে নিলে অন্যটিকে মিথ্যা স্বীকার করতে-ই হবে। . মুলত এই বক্তব্যগুলো সব মিথ্যা বানোয়াট কথা। অনেকটা সোনাবানুর কিচ্ছার মতো। এরা তাদের মাযহাবের ইমামাকে বাড়াতে বাড়াতে কখন যে হযরত মুহাম্মদ  ﷺথেকেও উপরে তুলে দেওয়ার মিথ্যা প্রতিযোগীতায় মেতে চলেছে তা তারা বুঝতেও পারছে না। তাই তো হযরত মুহাম্মদ ﷺ এর সহীহ হাদীসের দাওয়াত তাদের পছন্দ হয়ে না। প্রত্যেক আমলের ক্ষেত

পীর কাকে বলে হাক্কানী পীর বনাম ভন্ড পীর

হাক্কানী পীর বনাম  ভন্ড পীর দেওয়ানবাগী, চরমোনাই এবং মাইজভান্ডারী পীরের পোষ্টমর্টেম আমাদের এই উপমহাদেশে বহুকাল ধরে ইসলামের লেবাস ধরে পীর-মুরিদীর ব্যাবসা চলে আসছে। কেউবা নিজেকে দাবি করছে হক্কানী পীর আবার কেউবা নিজেকে মুক্তির কান্ডারী হিসেবেও জাহির করছে! মূলত এরা সবাই ধর্মের লেবাস ধরে শতাব্দীর পর শতাব্দী নিজেদের বিনা পূঁজির ব্যাবসা টিকিয়ে রাখছে যেখানে এদের অনেকেই মোশরেক, আবার একমাত্র হক্কানী তেলের ডিলারধারী হয়েও চরম ফাসেক। আসুন দেখে নেই এই ধর্ম ব্যাবসায়ী পীরদের আকীদা কি? দেওয়ানবাগী মোশরেকের আকিদাঃ- ১.দেওয়ানবাগী স্বপ্নে দেখেন ঢাকা এবং ফরিদপুরের মধ্যবর্তী স্থানে এক বিশাল বাগানে ময়লার স্তূপের উপর বিবস্ত্র অবস্থায় নবীজীর প্রাণহীন দেহ পড়ে আছে। মাথা দক্ষিন দিকে, পা উত্তর দিকে প্রসারিত। বাম পা হাঁটুতে ভাঁজ হয়ে খাড়া আছে। আমি উদ্ধারের জন্য পেরেশান হয়ে গেলাম। তাঁর বাম পায়ের হাঁটুতে আমার ডান হাত দিয়ে স্পর্শ করার সাথে সাথে দেহে প্রাণ ফিরে এল। এবং তিনি আমাকে বললেন, “হে ধর্মের পুনর্জীবনদানকারী, ইতিপূর্বে আমার ধর্ম পাঁচবার পুনর্জীবন লাভ করেছে। সূত্রঃ রাসূল কি সত্যিই গরিব ছিলেনঃ দেওয়ানবাগ থেকে প্রকাশি

নারী পুরুষের সালাতের পদ্ধতিগত কোন পার্থক্য আছে কি

প্রশ্ন: নারী-পুরুষের সালাতের পদ্ধতিগত কোন পার্থক্য আছে কি? উত্তর : মুসলিম জাতীর জন্য একটি ফরয ইবাদত হচ্ছে সালাত বা নামায। যা কোন অজুহাতেই পরিত্যাগ করা সম্ভব নয়। আর পরকালে সর্বপ্রথম এই সালাতের হিসাব নেয়া হবে। তবে আমাদের সমাজে পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে সালাত আদায়ে পার্থক্য দেখা যায়। কিন্তু মহানবী (সঃ) কখনও বলে যাননি যে, পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে সালাত আদায়ে পার্থক্য আছে। তাঁর সময় নারী-পুরুষ একসাথে জামায়াতে নামায আদায়ের বহু হাদিস রয়েছে। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “ছল্লু কামা রআইতুমুনি উছল্লি” – “তোমরা সেই ভাবে সালাত আদায় কর , যেভাবে আমাকে সালাত আদায় করতে দেখ” (মেশকাত, ২য় খন্ড, হাদীস ৬৩২) এবং রাসূলের আনুগত্য না করে অন্য কারো আনুগত্য করলে তাকে নিজের ‘রব’ বানানো হবে, যেহেতু আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, “তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে তাদের আলেম ও পীর/ দরবেশদেরকে নিজের ‘রব’ বানিয়ে নিয়েছে।” (সূরা তওবা: আয়াত ৩১) সালাত আদায় করার জন্য নারী পুরুষ কারোর জন্য স্বতন্ত্র নিয়ম করা হয়নি। জিবরাঈল (আঃ) মহান আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ ক্রমে দুই দফায় রাসূল (সাঃ)-কে পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের নিয়ম পদ্ধতি ইমামতি করে বা

জাহান্নামে যাওয়ার জন্যে শয়তান কিভাবে ধোকা দেয় দেখুন বিস্তারিত

জাহান্নামে নেওয়ার জন্যে শয়তানের বিছানো কিছু ধোকার নমুনা দুনিয়াটা মস্ত বড়, খাও দাও করো। ২. তরুণ বয়স আর ফিরে আসবেনা, লাইফটাকে এখনই এনজয়(!) করে নাও। ৩. বিয়ের আগ পর্যন্ত নষ্টামি, বাদরামি, যিনা যা ইচ্ছা করো। ভালো দেখে একটা মেয়েকে বিয়ে করে বিয়ের পরে তাওবা করে নিলেই হবে। ৪. ছেলে-মেয়েকে বিয়ে দিয়ে হাজ্জ করতে যাবো। ৫. হজ্জ করে হারাম ইনকাম ছেড়ে দেবো। ৬. এখন হাজ্জ করে ফেললে নষ্টামি, বাদরামি আর করা যাবেনা। তাই মরার আগে বুড়া বয়সে যখন পাপ করার মতো আর শক্তি থাকবেনা, তখন তাওবা করে হাজ্জ করতে যাবো। ৭. ভাইয়া আমার বয়স অল্প, আর আজকালকার মেয়েরা খোলামেলা ড্রেস পড়ে। তাই দৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রন রাখতে পারিনা। ৮. দাড়ি রাখলে সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করা যাবেনা, বিয়ে করে বউয়ের পারমিশান(!) নিয়ে দাড়ি রাখতে হবে। নাউজুবিল্লাহ ৯. নামাযী বয়ফ্রেন্ড, হিজাবী গার্লফ্রেন্ড। ১০. এনার্জি ড্রিংক (আসলে মদের শরবত)। ১১. ইসলামী(!) নাশিদ, ড্যান্স। (ধোঁকা) ১২. হিজাবী আপু (শুধুমাত্র মাথায় স্কার্ফ)। ১৩. ফ্যাশান হাউজ, বিউটি কনটেস্ট (পতিতা নারীদের অনুকরণ করে তাদের মতো ইজ্জত বিক্রি করে দেওয়ার ট্রেনিং সেন্টার)। ১৪. ইসলামী(!) গণতন্ত্র। ১৫. বড় হুজুর বা

আল্লাহ নিজেকে বোঝাতে আমরা শব্দটি ব্যবহার করেছেন কেন

কুরআনে বিভিন্ন স্থানে আল্লাহ নিজেকে বোঝাতে “আমরা” শব্দটি ব্যবহার করেছেন কেন? পবিত্র কুরআনে বহুবচনের ব্যবহার এবং একটি সন্দেহের জবাব সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য। আমরা এমন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি যে বিষয়টি শুধু অমুসলিম নয়, অনেক মুসলিমের কাছেও স্পষ্ট নয়। অনেক অমুসলিম প্রশ্ন করে থাকেন, ইসলাম কি একের চেয়ে অধিক সংখ্যক আল্লাহতে বিশ্বাসী? কারণ পবিত্র কুরআনে প্রায়ই আল্লাহ সুবহানুওয়া তায়ালার বক্তব্যে "আমরা" শব্দটির বহুল প্রচলন প্রদর্শিত হয়। এবিষয়ে অনেকের বাড়াবাড়ি তো এ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, তারা বলে, কুরআনে আসলে ত্রিতত্ত্ব বা ট্রিনিটির কথা বলা হয়েছে আর মুসলিমরা নাকি গত ১৪০০ বছর ধরে এর ভুল ব্যাখ্যা করে যাচ্ছে! আবার অামেরিকার একদল ভ্রান্ত লোক এতে নাকি এশিয়ান কালো মানুষদের প্রতি ইংগিত খুঁজে পাচ্ছেন! আসলে ব্যাপারটা কি? আমরা তো জানি ইসলাম একটি কঠিন মনোথিস্টিক (শুধুমাত্র একজন আল্লাহতে গভীর বিশ্বাস) ধর্ম। ইসলাম বিশ্বাস করে যে- আল্লাহ তাঁর যোগ্যতায় এক এবং অদ্বিতীয় । তাহলে? এর ব্যাখ্যা কি? শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমিয়্যা এর ব্যাখ্যয় বলেছেন, "আরবি সাহিত্যের একটি বৈশিষ্ট্য হ

মহান আল্লাহ কেন পাপিদের কে সাস্তি দিচ্চেনা

আল্লাহ্‌ আছে কি নেই সন্দেহে ভুগছেন  তাহলে পড়ুন তোমরা কি দেখো না যে পৃথিবীতে সব কিছুই তোমাদের অধিনস্ত করে ছে  এত বড় সমুদ্রের মাঝে ছোট ১টি জাহাজ কার নির্দেশে ভেসে থাকতে পারছে  তিনি আল্লাহ্‌ যিনি আকাশকে পৃথিবীর উপর ধসে পড়া থেকে ঠেকিয়ে রেখেছেন । নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ মানুষের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু ও রহমশীল । সুরা হাজ্জ ৬৫ যারা দুনিয়াতে এত অত্যাচার করে বেড়াচ্ছে, লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করছে, তারা সবাই অনেক সুখে আছে । টেকনোলোজি, টাকা-পয়সা, আরাম-আয়েস কোন কিছুইতেই তো তারা পিছিয়ে নেই । আল্লাহ্‌ সত্যি হয়ে থাকলে তাদের উপর আযাব কেন আসে না উত্তরঃ  আমি তো পূর্বেও বহু জনপদকে ছাড় দিয়েছি এমতাবস্থায় যে, তারা গোনাহগার ছিল। এরপর তাদেরকে আমার চারপাশ থেকে আমার আযাব দ্বারা পাকড়াও করেছি এবং আমার কাছেই সবাইকে প্রত্যাবর্তন করতে হবেসুরা হাজ্জ ৪৮  কত মানুষ আছে যারা কুরআনের বিরুদ্ধে আল্লাহ্‌র বিরুদ্ধে মহানবীর(সা) বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। তাদের তো কিছুই হচ্ছে না। উত্তরঃ  কতক মানুষ জ্ঞান; প্রমাণ ও স্পষ্ট দলিল ছাড়াই আল্লাহ সম্পর্কে বিতর্ক করে। সে পার্শ্ব পরিবর্তন করে বিতর্ক করে, যাতে মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে বিভ্রা

মুসলিম মাযহাব ছাডবে কেন

এক বিখ্যাত আলেমের উক্তি আমি মাযাহাব ছাড়লাম কেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, আমার উম্মত বিভক্তি হবে ৭৩ দলে ৷ এদের সকল দলই জাহান্নাম যাবে এক দল ব্যতীত ৷ সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসুল ! সেটি কোন দল ? রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন,  আমি এবং আমার সাহাবীগণ যার উপর আছি ৷ ( মিশকাত ১ম খন্ড, হা/১৬৩) মাযাহাব ৪টা : হানাফী, মালিকী, শাফিঈ, ও হাম্বেলী ৷ অামাদের বাংলাদেশে বেশীর ভাগই হানাফী মাযাহাবী মুসলমান ৷ মাযাহাবীদের মতে ৪ মাযাহাবের যে কোন একটি মাযাহাব মানা ফরজ ৷ যে কোন একটা মানতেই হবে, মাযাহাব না মানলে তারা লা মাযাহাবী। হানাফীদের কথায় লা-মাযাবীগণ বিদাআতি, নাস্তিক, মুনাফীক, হঠকারী, সীমালঙ্ঘনকারী, একটা ফিতনা-ফাসাদ, বাতিল ফিরকা, শিয়াদের মতো কেউ কেউ বলেন তারা খারেজী থেকে উৎপত্তি। এখন রসুলুল্লাহ (সা:)  এর কথায় একটা দল যাবে জান্নাতে, তাহলে কোন মাযহাবীগণ জান্নাতে যাবে?  কোন মাযাহাব ঠিক? মাযাহাবী বড় বড় আলেমগণ বলেন, হানাফী মাযাহাব জগদ্বিখ্যাত এবং সর্ববৃহৎ; জান্নাতে পৌঁছার জন্য এ দলের পথই সরল ও সহজ!!!  আব্দুল কাদের জিলানী (রহ:) তার গুনিয়াতুত তালিবীন গ্রন্থের ২১০ পৃষ্টায় ৭৩ দলের বর্ণনা দি

বিভিন্ন সালাতের নিয়ম

দুই রাকাত নামাজের নিয়মঃ প্রথমে অজু করে পবিত্র হয়ে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে জায়নামাজের দোয়া পড়বেন না কারন তার সহীহ কোন দলীল নেই । মনে নামাজের নিয়্যত  করবে অন্তরে মুখে পডা বিদ,আত । এবং আল্লাহু আকবার বলে তাকবীরে তাহরিমার পরে নারী_পুরুষের একই নিয়ম বুকের উপর বা নাভীর উপরে হাত বাঁধবে (বাম হাঁতের উপরে ডান হাত)প্রথমে সানা পড়বেসূরা ফাতিহা পড়বে এবং তারপরে অন্য একটি সূরা মিলাবেধীর-স্থিরভাবে রুকু ও দুই সিজদা করে উঠে দাঁড়াবে এবং পূর্বের ন্যায় হাত বাঁধবেসূরা ফাতিহা পড়বে এবং অন্য কোন সূরা মিলাবেসম্পূর্ণভাবে রুকু-সেজদা করবে এবং উঠে না দাঁড়িয়ে বৈঠকে বসবে। বৈঠকে তাশাহুদ, দরুদ ও দোয়া মাসুরা পাঠ করবে। অতঃপর ডানে ও বামে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবে তিন রাকাত নামাজের নিয়মঃ প্রথমে অজু করে পবিত্র হয়ে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে জায়নামাজের দোয়া পড়বেমনে মনে নামাজের নিয়্যত করবে এবং আল্লাহু আকবার বলে তাকবীরে তাহরিমার পরে  বুকের উপর বা নাভীর উপরে হাত বাঁধবে (বাম হাঁতের উপরে ডান হাত)প্রথমে সানা পড়বেসূরা ফাতিহা পড়বে এবং তারপরে অন্য একটি সূরা মিলাবেধীর-স্থিরভাবে রুকু ও দুই সিজদা করে উঠে দাঁড়াবে এবং পূর্বের ন্যায় হ

সালাত কায়েমের জরুরী বিষয়

  যে ফরজ কাজগুলো সালামের মধ্যে আদায় করতে হয়, সেগুলোকে সালাতের আরকান বলা হয়। সালাতের ৬টি আরকান রয়েছে, সেগুলো নিম্নে দেয়া হল- ১. তাকবিরে তাহরিমা বা আল্লাহু আকবার বলে নামাজ শুরু করা। ২. কেরাম বা দাঁড়িয়ে সালাত পড়া। নারী-পুরুষ উভয়কে দাঁড়িয়ে সালাত পড়ত হবে। তবে অসুস্থ হলে বসে এবং বলতে অক্ষম হলে শুয়ে ইশারায় সালাত পড়তে হবে। ৩. কোরআন শরিফের কিছু অংশ পাঠ করা। ৪. রুকু করা ৫. সিজদা করা ৬. শেষ বৈঠকে বসা (যে বৈঠকে তাশাহুদ, দরুদ, দোয়া মাছুরা পড়ে সালামের মাধ্যমে সালাত শেষ করা হয় তাকেই বলে শেষ বৈঠক) ডানে ও বামে সালাম ফিরিয়ে সালাত শেষ করা। যে ফরজ কাজগুলো নামাজ শুরু করার আগেই করতে হয়, সেগুলোকে সালাতের আহকাম বলা হয়। সালাতের আহকাম মোট সাতটি। যথা- ১. শরীর পাক হওয়া : প্রয়োজনমতো অজু-গোসল বা তায়ামুমের মাধ্যমে শরীর পাক পবিত্র করা। ২. কাপড় পাক হওয়া, অর্থাৎ কাপড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়া। ৩. জায়গা পাক হওয়া (নামাজ পড়ার স্থান পাক হওয়া)। ৪. সতর ঢাকা (পুরুষের নাভীর উপর থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে রাখা এবং মহিলাদের মুখমণ্ডল হাতের কব্জি এবং পায়ের পাতা ছাড়া সমস্ত শরীর ঢেকে রাখা)। ৫. কিবলামুখী হওয়া (কাবা